বেসরকারি ভাবে বড় হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম এবং বিস্তারিত। পোস্টের শুরুতেই সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আপনারা যারা হজে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন অনেকেই রয়েছেন যারা সরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য কোটায় চান্স পান নি। অনেকেই রয়েছেন তারা বাধ্য হয়ে বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য ইচ্ছুক। এজন্য অনলাইনে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করে থাকেন।
আমাদের সাইটে হজের সম্পর্কিত যাবতীয় বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি চাইলেই হজ-ওমরাহ সম্পর্কিত সরকারি এবং বেসরকারি সকল দিক নির্দেশনা আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনারা যারা হজের জন্য নিবন্ধন করে রেখেছেন তারা নিবন্ধন স্ট্যাটাস আমাদের এখানে দেখে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক বেসরকারিভাবে হজের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন।
বেসরকারি ভাবে বড় হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম
বেসরকারি ভাবে বড় হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম। আপনি যদি বেসরকারিভাবে হজে যেতে চান তাহলে নিম্নের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি সরকারিভাবে হজ এর কোঠায় কি নাম এসে না থাকে। তাহলে অবশ্যই বেসরকারিভাবে চেষ্টা করতে পারেন। যেহেতু সরকারিভাবে হজ করার জন্য লিমিটেশন অনেক কম সংখ্যা। তাই বেশিরভাগ হাজীগণ বেসরকারী ভাবে হজ্ব করে থাকেন।
সরকারিভাবে হজ করতে হলে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে pre-registration বা প্রাক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে কোন এক বছর আপনি অবশ্যই সুযোগ পেয়ে যাবেন। এছাড়া সরকারিভাবে হজ এর জন্য আবেদন করলে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ সকল কার্যক্রম আপনাকে একা সম্পন্ন করতে হবে।
আপনি যদি বেসরকারিভাবে হজের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে তেমন কোনো সমস্যা পোহাতে হবে না। কারণ আপনার বেসরকারি হজের জন্য সম্পূর্ণ বিস্তারিত কার্যক্রম আপনার হজ এজেন্সি করে দিবে। এ ক্ষেত্রে অনেকটাই টেনশন ফ্রি ভাবে আবেদন সম্পন্ন করা যায়। তাই আপনি যদি বেসরকারিভাবে হজ করতে চান তাহলে ভালো একটি বিশ্বস্ত হজ এজেন্সির নিকট যোগাযোগ করুন।
আরো দেখুনঃ হজ্জ এর নিবন্ধন নাম্বার যাচাই এবং বর্তমান অবস্থান দেখার নিয়ম
বেসরকারিভাবে হজের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে দালালের খপ্পরে না পড়া। আপনি সরাসরি হজ এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের সাথে টাকা লেনদেন করুন। কোনরকম মধ্যস্বত্বভোগীর সাথে যোগাযোগ করবেন না কিংবা টাকা লেনদেন করবেন না। এক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
প্রতিবছর বিভিন্ন হজ এজেন্সি বেসরকারিভাবে হাজীদের পাঠিয়ে থাকেন। এরকম এজেন্সি প্রতিবছর পরিবর্তন হয়ে থাকে। সব এজেন্সি প্রতি বছর হজ কার্যক্রম নাও করতে পারে। এক্ষেত্রে যে সমস্ত এজেন্সি হাজীদের পাঠানোর জন্য সহায়তা করবেন তারা আগেই সরকারের কাছে আবেদন করে থাকেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে সমস্ত হজ এজেন্সিকে লাইসেন্স বা অনুমতি দিবে কেবলমাত্র সেইসব এজেন্সি হাজীদের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে প্রতিবছর হজ এজেন্সি যারা যারা আবেদন করেন তাদের বিচার বিবেচনা পূর্বক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। তাই এবছর আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে হজের আবেদন করবেন তার লিস্ট ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পেয়ে যাবেন।
সসরকারি অনুমতিপ্রাপ্ত হজ্জ এজেন্সীর তালিকা
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যে সমস্ত এজেন্সির নাম উল্লেখ করা আছে সেখান থেকে আপনি পছন্দের একটি এজেন্সি নিকটস্থ গিয়ে হজের আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। এজেন্সি আপনাকে বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবে এবং গাইড এর ব্যবস্থা করে দিবেন। সুতরাং সবশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বেসরকারিভাবে বড় হজের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে পছন্দের হজ এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন।
আর যদি সরকারিভাবে বড় হজের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে বিস্তারিত দেখুন এখানেঃ
সরকারি ভাবে হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম এবং বিস্তারিত
শেষ কথাঃ
সম্মানিত পাঠক, আমরা চেস্টা করেছি যুগউপযোগী তথ্য সরবরাহ এর মাধ্যমে আপনাদের সাহায্য করতে। আশা করি এখানে থেকে হজ্জ সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনারা পেয়ে গেছেন। এছাড়া আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করবো যে আপনাদের যদি আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করুন। আমরা চেস্টা করবো আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার।
আরো দেখুনঃ
হজ্জ এর নিবন্ধন নাম্বার যাচাই এবং বর্তমান অবস্থান দেখার নিয়ম
সরকারি ভাবে হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম এবং বিস্তারিত
তাওয়াক্কালনা এ্যাপ এর মাধ্যমে ওমরা হজ্জের জন্য আবেদনের নিয়ম
ফেসবুক থেকে আয় ২০২২( A-Z) – প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করুন
বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নতুন নিয়ম ২০২২ (চার্জ ছাড়া)